কেন পর্যাপ্ত ঘুম হৃদযন্ত্রের জন্য জরুরি?
ডা. কুমার ব্যাখ্যা করেন, ঘুমের সময় আমাদের শরীর একটি ‘মেরামত যন্ত্রের’ মতো কাজ করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসে, যেমন:
১। রক্তচাপ কমে যায়।
২। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হয়।
কেন পর্যাপ্ত ঘুম হৃদযন্ত্রের জন্য জরুরি?
ডা. কুমার ব্যাখ্যা করেন, ঘুমের সময় আমাদের শরীর একটি ‘মেরামত যন্ত্রের’ মতো কাজ করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসে, যেমন:
১। রক্তচাপ কমে যায়।
২। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হয়।
এই প্রক্রিয়াগুলো হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। একই সময়ে, আমাদের শরীরের টিস্যুগুলো মেরামত হয়, রক্তনালীগুলো সুস্থ থাকে এবং প্রদাহ কমে আসে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এই ‘মেরামত চক্র’ ব্যাহত হয়, যার ফলে হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়।
সাত ঘণ্টার কম ঘুমালে কী হতে পারে?
ডা. কুমার বলেন, যখন আপনি নিয়মিত সাত ঘণ্টার কম ঘুমান, তখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না এবং এর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:
উচ্চ রক্তচাপ: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রাতের বেলাও রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ঘুমের অভাবে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে ওজন বাড়তে পারে, যা হৃদপিণ্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে।
অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন: ঘুমের অভাব হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা হার্টের অনিয়মিত স্পন্দন বা অ্যারিথমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে কতটা ঘুম প্রয়োজন?
ডা. কুমার পরামর্শ দেন যে, বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তবে শুধু সময়ের হিসাব নয়, ঘুমের গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ। গভীর ঘুম ও আরইএম (Rapid Eye Movement) সাইকেলগুলো শরীরের মেরামতের জন্য অপরিহার্য।
১। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন।
২। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো স্ক্রিন ব্যবহার কমিয়ে দিন।
৩। শোবার ঘরকে অন্ধকার ও শান্ত রাখুন।
সুতরাং, ছয় ঘণ্টা ঘুমানোর পর আপনি হয়তো সকালে সতেজ অনুভব করতে পারেন, কিন্তু আপনার হৃদপিণ্ড নীরবে এর মূল্য দিচ্ছে। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।