ঢাকা , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ধামরাইয়ের অটোরিক্সা চালক খুনের রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই ধামরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় চালকসহ নিহত ২ হামলার ঘটনার এক বছরেও মেলেনি বিচারঃ নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুক্তোভুগী মামুন আশুলিয়ায় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বাসাবাড়িতে আগুন সাভারে অনলাইনে সম্পর্ক করে প্রতারণা নারী গ্রেফতার পাঁচ দফা দাবিতে ইউজিসি ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষকদের ধামরাইতে ৩১লক্ষ টাকার মাদকসহ আটক ৩ সাভারে কসাইয়ের দোকানে হামলা ও লুটের অভিযোগ শব্দ দূষণ রোধে সাভারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সাভারে চাঁদাবাজ ও ব্যাবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত ১০ রুবেল শেখের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেনা ঝুট,জমি,ক্লাব মিয়ানমারে অবৈধ পণ্য পাচারকালে ১১ পাচারকারীকে ধরলো নৌবাহিনী সেলফি বাসের চাপায় মানিকগঞ্জে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিলেই পাবেন দৈনিক ২০০ দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক টানা ৫ দিন বৃষ্টি হবে যেসব বিভাগে রাস্তা অবরোধকারীরা ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজির অভিযোগ: সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে হোটেল-রেস্তোরাঁ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দেয় ১৮ হাজার কোটি

৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮০৩ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত
অনেকেই মনে করেন প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট এবং এর চেয়ে বেশি ঘুমানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এটি আমাদের শরীরের, বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই বিষয়ে ভারতীয় কার্ডিওলজিস্ট ডা. অমিত কুমার নিশ্চিত করেছেন, ছয় ঘণ্টার ঘুম একেবারেই যথেষ্ট নয়। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস ঘুমের অভাব সৃষ্টি করে, যা শেষ পর্যন্ত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কেন পর্যাপ্ত ঘুম হৃদযন্ত্রের জন্য জরুরি?
ডা. কুমার ব্যাখ্যা করেন, ঘুমের সময় আমাদের শরীর একটি ‘মেরামত যন্ত্রের’ মতো কাজ করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসে, যেমন:

১। রক্তচাপ কমে যায়।

২। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হয়।

৩। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ হ্রাস পায়।

এই প্রক্রিয়াগুলো হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। একই সময়ে, আমাদের শরীরের টিস্যুগুলো মেরামত হয়, রক্তনালীগুলো সুস্থ থাকে এবং প্রদাহ কমে আসে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এই ‘মেরামত চক্র’ ব্যাহত হয়, যার ফলে হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়।

সাত ঘণ্টার কম ঘুমালে কী হতে পারে?
ডা. কুমার বলেন, যখন আপনি নিয়মিত সাত ঘণ্টার কম ঘুমান, তখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না এবং এর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:

উচ্চ রক্তচাপ: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রাতের বেলাও রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।

বর্ধিত প্রদাহ: কম ঘুম রক্তনালীতে প্রদাহ বাড়ায়, যা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ঘুমের অভাবে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে ওজন বাড়তে পারে, যা হৃদপিণ্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে।

অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন: ঘুমের অভাব হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা হার্টের অনিয়মিত স্পন্দন বা অ্যারিথমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে কতটা ঘুম প্রয়োজন?
ডা. কুমার পরামর্শ দেন যে, বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তবে শুধু সময়ের হিসাব নয়, ঘুমের গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ। গভীর ঘুম ও আরইএম (Rapid Eye Movement) সাইকেলগুলো শরীরের মেরামতের জন্য অপরিহার্য।

আপনার ঘুমের মান উন্নত করতে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন:

১। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন।

২। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো স্ক্রিন ব্যবহার কমিয়ে দিন।

৩। শোবার ঘরকে অন্ধকার ও শান্ত রাখুন।

সুতরাং, ছয় ঘণ্টা ঘুমানোর পর আপনি হয়তো সকালে সতেজ অনুভব করতে পারেন, কিন্তু আপনার হৃদপিণ্ড নীরবে এর মূল্য দিচ্ছে। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।


প্রিন্ট

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Abeer Uz Zaman

আসসালামু আলাইকুম। আমি আবিরুজ্জামান। ঢাকা গেজেটের সম্পাদক ও প্রকাশক। আপনাদের যেকোনো পরামর্শ ও অভিযোগ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়

আপডেট সময় ০১:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেকেই মনে করেন প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট এবং এর চেয়ে বেশি ঘুমানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এটি আমাদের শরীরের, বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই বিষয়ে ভারতীয় কার্ডিওলজিস্ট ডা. অমিত কুমার নিশ্চিত করেছেন, ছয় ঘণ্টার ঘুম একেবারেই যথেষ্ট নয়। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস ঘুমের অভাব সৃষ্টি করে, যা শেষ পর্যন্ত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কেন পর্যাপ্ত ঘুম হৃদযন্ত্রের জন্য জরুরি?
ডা. কুমার ব্যাখ্যা করেন, ঘুমের সময় আমাদের শরীর একটি ‘মেরামত যন্ত্রের’ মতো কাজ করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসে, যেমন:

১। রক্তচাপ কমে যায়।

২। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হয়।

৩। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ হ্রাস পায়।

এই প্রক্রিয়াগুলো হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। একই সময়ে, আমাদের শরীরের টিস্যুগুলো মেরামত হয়, রক্তনালীগুলো সুস্থ থাকে এবং প্রদাহ কমে আসে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এই ‘মেরামত চক্র’ ব্যাহত হয়, যার ফলে হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়।

সাত ঘণ্টার কম ঘুমালে কী হতে পারে?
ডা. কুমার বলেন, যখন আপনি নিয়মিত সাত ঘণ্টার কম ঘুমান, তখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না এবং এর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:

উচ্চ রক্তচাপ: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রাতের বেলাও রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।

বর্ধিত প্রদাহ: কম ঘুম রক্তনালীতে প্রদাহ বাড়ায়, যা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ঘুমের অভাবে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে ওজন বাড়তে পারে, যা হৃদপিণ্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে।

অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন: ঘুমের অভাব হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা হার্টের অনিয়মিত স্পন্দন বা অ্যারিথমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে কতটা ঘুম প্রয়োজন?
ডা. কুমার পরামর্শ দেন যে, বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তবে শুধু সময়ের হিসাব নয়, ঘুমের গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ। গভীর ঘুম ও আরইএম (Rapid Eye Movement) সাইকেলগুলো শরীরের মেরামতের জন্য অপরিহার্য।

আপনার ঘুমের মান উন্নত করতে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন:

১। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন।

২। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো স্ক্রিন ব্যবহার কমিয়ে দিন।

৩। শোবার ঘরকে অন্ধকার ও শান্ত রাখুন।

সুতরাং, ছয় ঘণ্টা ঘুমানোর পর আপনি হয়তো সকালে সতেজ অনুভব করতে পারেন, কিন্তু আপনার হৃদপিণ্ড নীরবে এর মূল্য দিচ্ছে। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।


প্রিন্ট