ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ধামরাইয়ের অটোরিক্সা চালক খুনের রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই ধামরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় চালকসহ নিহত ২ হামলার ঘটনার এক বছরেও মেলেনি বিচারঃ নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুক্তোভুগী মামুন আশুলিয়ায় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বাসাবাড়িতে আগুন সাভারে অনলাইনে সম্পর্ক করে প্রতারণা নারী গ্রেফতার পাঁচ দফা দাবিতে ইউজিসি ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষকদের ধামরাইতে ৩১লক্ষ টাকার মাদকসহ আটক ৩ সাভারে কসাইয়ের দোকানে হামলা ও লুটের অভিযোগ শব্দ দূষণ রোধে সাভারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সাভারে চাঁদাবাজ ও ব্যাবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত ১০ রুবেল শেখের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেনা ঝুট,জমি,ক্লাব মিয়ানমারে অবৈধ পণ্য পাচারকালে ১১ পাচারকারীকে ধরলো নৌবাহিনী সেলফি বাসের চাপায় মানিকগঞ্জে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিলেই পাবেন দৈনিক ২০০ দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক টানা ৫ দিন বৃষ্টি হবে যেসব বিভাগে রাস্তা অবরোধকারীরা ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজির অভিযোগ: সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে হোটেল-রেস্তোরাঁ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দেয় ১৮ হাজার কোটি

সাংবাদিকের বেতন ন্যূনতম ৩৫ হাজার করার প্রস্তাব

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮০৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কর্তৃক আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করা, সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং অবিলম্বে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি উঠে আসে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআরইউ ও জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “কমিশনের প্রতিবেদনে কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব থাকলেও, যেগুলো অসংগতিপূর্ণ বা বাস্তবতা বিবর্জিত, তা অবশ্যই সমালোচনার দাবি রাখে।”

তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত শাস্তির বিধান বাতিলের সুপারিশের বিরোধিতা করে বলেন, “এই বিধান সহিংসতা রোধে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”

শফিকুল আলম আরও বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতির সঙ্গে একমত। এটি বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।” তিনি সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার দায় মালিকপক্ষকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা এবং প্রয়োজনে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান চালুর প্রস্তাব দেন।

মিডিয়া লাইসেন্সের জন্য অনলাইন, প্রিন্ট ও টেলিভিশন মাধ্যমে যথাক্রমে ১০-১৫ কোটি, ২০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা সিকিউরিটি মানি জমা রাখার প্রস্তাব দেন তিনি। যা সংকটকালে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলেও মত দেন।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে নিজেদেরই সক্রিয় হতে হবে। এখনও অনেক সাংবাদিক মবের শিকার হচ্ছেন, মিডিয়ার কাঠামোতেও বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।”

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেন, “ডিআরইউ, প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনকেও সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য ভাতা চালু করা প্রয়োজন।”

বিএফইউজে সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, “গণমাধ্যম কমিশনের প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও সত্যের ঘাটতি রয়েছে। এ রিপোর্ট পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক।”

ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও রফিকুল ইসলাম আজাদ ইউনিটির প্রতিনিধি কমিশনে অন্তর্ভুক্তি এবং সাংবাদিকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানান।

ডিবিসি নিউজের সম্পাদক একরামুল হক ভূঁইয়া বলেন, “টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়াকেও ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনতে হবে।”

ঢাকা মেইল ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল সপ্তাহে দুই দিন সাংবাদিকদের ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতনের বিচারের জন্য আলাদা কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাইনুল হাসান সোহেল, মোতাহার হোসেন মাসুম, মসিউর রহমান খান, মাহমুদুর হাসান, দিদারুল আলম ও হাফিজুল ইসলাম।


প্রিন্ট

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Abeer Uz Zaman

আসসালামু আলাইকুম। আমি আবিরুজ্জামান। ঢাকা গেজেটের সম্পাদক ও প্রকাশক। আপনাদের যেকোনো পরামর্শ ও অভিযোগ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

সাংবাদিকের বেতন ন্যূনতম ৩৫ হাজার করার প্রস্তাব

আপডেট সময় ০৪:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কর্তৃক আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করা, সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং অবিলম্বে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি উঠে আসে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআরইউ ও জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “কমিশনের প্রতিবেদনে কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব থাকলেও, যেগুলো অসংগতিপূর্ণ বা বাস্তবতা বিবর্জিত, তা অবশ্যই সমালোচনার দাবি রাখে।”

তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত শাস্তির বিধান বাতিলের সুপারিশের বিরোধিতা করে বলেন, “এই বিধান সহিংসতা রোধে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”

শফিকুল আলম আরও বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতির সঙ্গে একমত। এটি বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।” তিনি সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার দায় মালিকপক্ষকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা এবং প্রয়োজনে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান চালুর প্রস্তাব দেন।

মিডিয়া লাইসেন্সের জন্য অনলাইন, প্রিন্ট ও টেলিভিশন মাধ্যমে যথাক্রমে ১০-১৫ কোটি, ২০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা সিকিউরিটি মানি জমা রাখার প্রস্তাব দেন তিনি। যা সংকটকালে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলেও মত দেন।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে নিজেদেরই সক্রিয় হতে হবে। এখনও অনেক সাংবাদিক মবের শিকার হচ্ছেন, মিডিয়ার কাঠামোতেও বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।”

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেন, “ডিআরইউ, প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনকেও সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য ভাতা চালু করা প্রয়োজন।”

বিএফইউজে সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, “গণমাধ্যম কমিশনের প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও সত্যের ঘাটতি রয়েছে। এ রিপোর্ট পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক।”

ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও রফিকুল ইসলাম আজাদ ইউনিটির প্রতিনিধি কমিশনে অন্তর্ভুক্তি এবং সাংবাদিকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানান।

ডিবিসি নিউজের সম্পাদক একরামুল হক ভূঁইয়া বলেন, “টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়াকেও ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনতে হবে।”

ঢাকা মেইল ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল সপ্তাহে দুই দিন সাংবাদিকদের ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতনের বিচারের জন্য আলাদা কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাইনুল হাসান সোহেল, মোতাহার হোসেন মাসুম, মসিউর রহমান খান, মাহমুদুর হাসান, দিদারুল আলম ও হাফিজুল ইসলাম।


প্রিন্ট