ঢাকা , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ধামরাইয়ের অটোরিক্সা চালক খুনের রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই ধামরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় চালকসহ নিহত ২ হামলার ঘটনার এক বছরেও মেলেনি বিচারঃ নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুক্তোভুগী মামুন আশুলিয়ায় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বাসাবাড়িতে আগুন সাভারে অনলাইনে সম্পর্ক করে প্রতারণা নারী গ্রেফতার পাঁচ দফা দাবিতে ইউজিসি ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষকদের ধামরাইতে ৩১লক্ষ টাকার মাদকসহ আটক ৩ সাভারে কসাইয়ের দোকানে হামলা ও লুটের অভিযোগ শব্দ দূষণ রোধে সাভারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সাভারে চাঁদাবাজ ও ব্যাবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত ১০ রুবেল শেখের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেনা ঝুট,জমি,ক্লাব মিয়ানমারে অবৈধ পণ্য পাচারকালে ১১ পাচারকারীকে ধরলো নৌবাহিনী সেলফি বাসের চাপায় মানিকগঞ্জে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিলেই পাবেন দৈনিক ২০০ দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক টানা ৫ দিন বৃষ্টি হবে যেসব বিভাগে রাস্তা অবরোধকারীরা ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজির অভিযোগ: সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে হোটেল-রেস্তোরাঁ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দেয় ১৮ হাজার কোটি

ফরিদা পারভীন আর নেই

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮১৫ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ ফরিদা পারভীন

না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের লোকসংগীতের অমর কণ্ঠস্বর ফরিদা পারভীন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকদিন আইসিইউতে ছিলেন ফরিদা পারভীন। ডায়ালাইসিসের পর হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত বুধবার তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে, ১৯৬৮ সালে শুরু হয় তার পেশাদার সংগীতজীবন। পারিবারিক পরিবেশেই গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তার। গানের প্রতি ছিল বাবার গভীর অনুরাগ; দাদিও ছিলেন সংগীতানুরাগী। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াতে হলেও গান ছিল তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

দীর্ঘ ৫৫ বছরের সংগীতজীবনে ফরিদা পারভীন হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের লোকসংগীতের এক অনন্য প্রতীক। বিশেষ করে লালন সংগীত পরিবেশনায় তার অবদান অমর হয়ে থাকবে সংগীতপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এই শিল্পীর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি।


প্রিন্ট
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Abeer Uz Zaman

আসসালামু আলাইকুম। আমি আবিরুজ্জামান। ঢাকা গেজেটের সম্পাদক ও প্রকাশক। আপনাদের যেকোনো পরামর্শ ও অভিযোগ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

ফরিদা পারভীন আর নেই

আপডেট সময় ১১:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের লোকসংগীতের অমর কণ্ঠস্বর ফরিদা পারভীন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকদিন আইসিইউতে ছিলেন ফরিদা পারভীন। ডায়ালাইসিসের পর হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত বুধবার তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে, ১৯৬৮ সালে শুরু হয় তার পেশাদার সংগীতজীবন। পারিবারিক পরিবেশেই গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তার। গানের প্রতি ছিল বাবার গভীর অনুরাগ; দাদিও ছিলেন সংগীতানুরাগী। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াতে হলেও গান ছিল তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

দীর্ঘ ৫৫ বছরের সংগীতজীবনে ফরিদা পারভীন হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের লোকসংগীতের এক অনন্য প্রতীক। বিশেষ করে লালন সংগীত পরিবেশনায় তার অবদান অমর হয়ে থাকবে সংগীতপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এই শিল্পীর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি।


প্রিন্ট