জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হামলায় নিহত দরজি বিশ্বজিৎ দাসের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় গেটসংলগ্ন শাঁখারীবাজার মোড়কে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড অপসারণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন এ ঘোষণা দেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের পর ধাওয়া করে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিশ্বজিৎ ওই সময় লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে হেঁটে শাঁখারীবাজারের দোকানে যাচ্ছিলেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এই জায়গায় বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাঁচার জন্য বারবার আকুতি জানালেও তাঁকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদের নির্মম অবিচার, নিপীড়ন ও হত্যার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই হত্যাকাণ্ড।
রইছ উদদীন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী প্রশাসন হত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার না করে উল্টো তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে। বিশ্বজিতের ত্যাগকে স্মরণ রাখতে ও ফ্যাসিবাদের নির্মম অত্যাচারকে জনমনে জাগিয়ে রাখতে এই জায়গার নাম ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হলো। অতি দ্রুত এই চত্বর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রিন্ট