নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এই মিলগুলো চোখে পড়েছে। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্বাচনের আগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। প্রার্থীদের প্রচারণা, বিতর্ক এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ধরণ ছিল অনেকটাই একই রকম। ভোটগ্রহণের দিনও একই ধরনের ব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা যায়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি, ভোটদানে আগ্রহ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কিছু সাদৃশ্য ছিল। উভয় নির্বাচনেই ফলাফল ঘোষণা নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা গেছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি করে। এরপরও, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাদের নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানায়। এই দুটি নির্বাচন দেশের ছাত্ররাজনীতিতে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পথ খুলে দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
দুই নির্বাচনে যেসব মিল পাওয়া গেল :
এক. নির্বাচনে কারচুপি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ: ডাকসু ও জাকসু দুই নির্বাচনেই অনিয়ম-কারচুপি-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। এর মধ্যে নির্বাচনে অমোছনীয় কালির পরিবর্তে কিছু ক্ষেত্রে ভোটারদের আঙুলে মোছনীয় কালি ব্যবহার করা, আগে থেকেই পূরণ করা ব্যালট সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে।
দুই. ভোটকেন্দ্রে জোরপূর্বক প্রবেশ ও জাল ভোট: ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ভোট গণনার রুমেও নিয়ম ভেঙে প্রবেশের অভিযোগ পাওয়া যায়। আর জাকসুতে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগও তোলেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা।
তিন. নারী প্রার্থীদের হেনস্তা: উভয় নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপ্রচার ও হেনস্তার নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া যায়। সব প্যানেলের নারী প্রার্থীরাই এই অপ্রচারের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চার. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাপট: এবারের ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে ডাকসুতে সুবিধা করতে না পারলেও জাকসুতে ভিপিসহ ৩ পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।