ঢাকা , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ধামরাইয়ের অটোরিক্সা চালক খুনের রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই ধামরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় চালকসহ নিহত ২ হামলার ঘটনার এক বছরেও মেলেনি বিচারঃ নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুক্তোভুগী মামুন আশুলিয়ায় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বাসাবাড়িতে আগুন সাভারে অনলাইনে সম্পর্ক করে প্রতারণা নারী গ্রেফতার পাঁচ দফা দাবিতে ইউজিসি ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষকদের ধামরাইতে ৩১লক্ষ টাকার মাদকসহ আটক ৩ সাভারে কসাইয়ের দোকানে হামলা ও লুটের অভিযোগ শব্দ দূষণ রোধে সাভারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সাভারে চাঁদাবাজ ও ব্যাবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত ১০ রুবেল শেখের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেনা ঝুট,জমি,ক্লাব মিয়ানমারে অবৈধ পণ্য পাচারকালে ১১ পাচারকারীকে ধরলো নৌবাহিনী সেলফি বাসের চাপায় মানিকগঞ্জে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিলেই পাবেন দৈনিক ২০০ দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক টানা ৫ দিন বৃষ্টি হবে যেসব বিভাগে রাস্তা অবরোধকারীরা ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজির অভিযোগ: সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে হোটেল-রেস্তোরাঁ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দেয় ১৮ হাজার কোটি

ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বিশ্বজিতের স্মরণে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮১০ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হামলায় নিহত দরজি বিশ্বজিৎ দাসের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় গেটসংলগ্ন শাঁখারীবাজার মোড়কে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড অপসারণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন এ ঘোষণা দেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের পর ধাওয়া করে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিশ্বজিৎ ওই সময় লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে হেঁটে শাঁখারীবাজারের দোকানে যাচ্ছিলেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এই জায়গায় বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাঁচার জন্য বারবার আকুতি জানালেও তাঁকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদের নির্মম অবিচার, নিপীড়ন ও হত্যার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই হত্যাকাণ্ড।

 

রইছ উদদীন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী প্রশাসন হত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার না করে উল্টো তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে। বিশ্বজিতের ত্যাগকে স্মরণ রাখতে ও ফ্যাসিবাদের নির্মম অত্যাচারকে জনমনে জাগিয়ে রাখতে এই জায়গার নাম ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হলো। অতি দ্রুত এই চত্বর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 


প্রিন্ট
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Abeer Uz Zaman

আসসালামু আলাইকুম। আমি আবিরুজ্জামান। ঢাকা গেজেটের সম্পাদক ও প্রকাশক। আপনাদের যেকোনো পরামর্শ ও অভিযোগ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বিশ্বজিতের স্মরণে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হামলায় নিহত দরজি বিশ্বজিৎ দাসের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় গেটসংলগ্ন শাঁখারীবাজার মোড়কে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড অপসারণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন এ ঘোষণা দেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের পর ধাওয়া করে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিশ্বজিৎ ওই সময় লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে হেঁটে শাঁখারীবাজারের দোকানে যাচ্ছিলেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এই জায়গায় বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাঁচার জন্য বারবার আকুতি জানালেও তাঁকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদের নির্মম অবিচার, নিপীড়ন ও হত্যার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই হত্যাকাণ্ড।

 

রইছ উদদীন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী প্রশাসন হত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার না করে উল্টো তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে। বিশ্বজিতের ত্যাগকে স্মরণ রাখতে ও ফ্যাসিবাদের নির্মম অত্যাচারকে জনমনে জাগিয়ে রাখতে এই জায়গার নাম ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হলো। অতি দ্রুত এই চত্বর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 


প্রিন্ট