
চলতি বছরের ফেব্রুরারির ৭ তারিখ শুক্রবারে দক্ষিণখানের ধীরাশ্রমে অবস্থিত সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলার কিছুক্ষণ পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিলেও ততক্ষণে ১৫ জন আহত হয় যাদের পরবর্তীতে তাজউদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পূর্বঘোষিত হুমকিতে মাইকে প্রকাশ্য ঘোষণায় হামলা করে দুর্বিত্তরা। স্থানীয় আওয়ামীলীগের ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান ও তার ভাতিজা লন্ডন নিবাসী মোঃহোসেন আল মামুনের বাসায় হামলা করা হয়।
সবচেয়ে বেশি লুটের শিকার হয় এই লন্ডন নিবাসী হোসেন আল মামুনের বাসা, তছনছ করে ফেলা হয় সবকিছু। শুধু লুট নয় বাধা দিতে আসা লোকজনকে করা হয় মারধর।
নির্দিষ্টভাবে এই লন্ডন প্রবাসীর বাসায় শক্তিশালী হামলার কারণ হিসেবে শুধু রাজনৈতিক লিপ্সা নয় বরং অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে সন্দেহ এলাকাবাসীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,
ভাংচুর ও লুটপাটের সময় কিছু লোকের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যাচ্ছিলো এবং মুখ কাপড়ে বাধা ছিল।তারা লুটপাট করছিলো না। কাউকে যেনো খুজছিলো তারা,একপর্যায়ে না পেয়ে চিৎকার করে হুমকি দিচ্ছিলো মামুন কই – যেমনেই হোক ওরে বাইর কর
তার মতে সেদিন হোসেন আল মামুন লন্ডনে অবস্থান না করলে ভয়ানক কিছু হতো।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক জানান,আমাদের দেশে এমন মবের শাস্তির উদাহরণ না তৈরি করার কারণে একটা বাজে মেসেজ ছড়াচ্ছে।যদি এই লন্ডনপ্রবাসী সেদিন দেশে থাকতেন এবং তার ক্ষতি হতো তাহলে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আরো সমালোচনা হতো।
হোসেন আল মামুনকে বারবার হুমকি দেয়াতে তিনি শঙ্কায় আছেন বলে জানা গিয়েছে।প্রায় এক বছর কেটে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই তার জীবনের নিরাপত্তায় তিনি আইন,পুলিশ,প্রশাসন কারো ভরসাই পাচ্ছেন না এই লন্ডন প্রবাসী মোঃ হোসেন আল মামুন।
প্রিন্ট