ঢাকা , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ধামরাইয়ের অটোরিক্সা চালক খুনের রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই ধামরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় চালকসহ নিহত ২ হামলার ঘটনার এক বছরেও মেলেনি বিচারঃ নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুক্তোভুগী মামুন আশুলিয়ায় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বাসাবাড়িতে আগুন সাভারে অনলাইনে সম্পর্ক করে প্রতারণা নারী গ্রেফতার পাঁচ দফা দাবিতে ইউজিসি ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষকদের ধামরাইতে ৩১লক্ষ টাকার মাদকসহ আটক ৩ সাভারে কসাইয়ের দোকানে হামলা ও লুটের অভিযোগ শব্দ দূষণ রোধে সাভারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সাভারে চাঁদাবাজ ও ব্যাবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত ১০ রুবেল শেখের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেনা ঝুট,জমি,ক্লাব মিয়ানমারে অবৈধ পণ্য পাচারকালে ১১ পাচারকারীকে ধরলো নৌবাহিনী সেলফি বাসের চাপায় মানিকগঞ্জে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিলেই পাবেন দৈনিক ২০০ দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক টানা ৫ দিন বৃষ্টি হবে যেসব বিভাগে রাস্তা অবরোধকারীরা ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজির অভিযোগ: সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে হোটেল-রেস্তোরাঁ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দেয় ১৮ হাজার কোটি

দেশে বিনিয়োগ কমছে, মব বাড়ছে: রুমিন ফারহানা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮০৬ বার পড়া হয়েছে
রুমিন ফারহানা
যত দিন যাচ্ছে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বিনিয়োগ কমছে, মব বাড়ছে। মেধাবীরাও দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে উদগ্রিব। অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্বরতরা দায়িত্ব পালনের বদলে হঠাৎ পাওয়া ক্ষমতা উপভোগ করছে। দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে ততই কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই দেশের পরিস্থিতি সেটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে।

আজকে শুধু বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ সাহেবের কথাই নয়, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও কিন্তু খুব কাছাকাছি একটা কথা বলেছেন। বলেছেন যে দ্রুত আপনারা কাজ করুন। কারণ দর্শক অধৈর্য হয়ে গেলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষ অধৈর্য। অনেকগুলো কারণে অধৈর্য। বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে এবং আশঙ্কাজনক হারে বিনিয়োগ কমছে। কারণ যারা ইনভেস্ট করবে তারা একটা স্টেবল পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখতে চায়। একটা স্টেবল পলিটিকাল গভর্মেন্ট দেখতে চায়।’

নেপালের উদাহরণ দিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নেপালে মাত্র তিনজনের একটা মন্ত্রিসভা হয়েছে এবং শপথ পড়ার সাথে সাথে তারা বলেছে আমার নেক্সট মেইন কাজই হলো ইলেকশন। উনারা কিন্তু ইনডেফিনিট পিরিয়ড। কেন ১২ বছরে ১৪টা সরকার হলো? পিআর পদ্ধতির কি এর জন্য দায়ী? নাকি নেপো চাইল্ডরা দায়ী, নাকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী, কে দায়ী এগুলো খুঁড়ে বের করতে যায়নি তারা। বরং তারা বলেছে আমরা অন্তর্বর্তীকালে জাস্ট এসেছি। জাস্ট একটা ইলেকশন দিয়ে আমরা চলে যাবো। আমরা কিন্তু সেটা বাংলাদেশে দেখছি না। আমরা নানান টালবাহানা লক্ষ্য করছি। টালবাহানাগুলো খুব ভালো না।’

যারা অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তারা বাংলাদেশের প্রতি এতোটা দায়বদ্ধ নন জানিয়ে রুমিন বলেন, ‘আজকে ডক্টর আলী রিয়াজ বলছেন, যিনি আসলে বাংলাদেশি নন, উনি বলছেন যে কেবলমাত্র নির্বাচনই দেশে কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। মানে তাহলে একটা বছর তো আমরা পার করলাম নির্বাচন ছাড়া। দেশে কোনো পরিবর্তনটা এসছে? কেবল তো সংবিধান সংস্কার না, এখানে নারী সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, এখানে চিকিৎসার সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, এখানে পুলিশ সংস্কার কমিশন হয়েছে, প্রশাসন সংস্কারের জন্য কী কী হবে সেটার একটা রেকমেন্ডেশন এসেছে এবং ওগুলোর সংস্কারের ক্ষেত্রে কিন্তু দলগুলো মোটামুটি একমত হয়েছে। সেই সংস্কারে কয়টার বাস্তবায়ন হয়েছে? আপনারা আসলে একটা বাবল তৈরি করতে চাচ্ছেন মানুষের সামনে যে আমি এটা করছি, ওটা করছি। আমি থাকলে আমি এটা করবো ওটা করবো। আপনারা আসলে কিছু করছেন না। আপনারা যেটা করছেন আপনারা না পেয়ে পাওয়া একটা ক্ষমতা, যেটা আপনারা কোনোদিন পাওয়ার কোনো কারণ ছিল না, কথাও ছিল না, আপনারা সেটা উপভোগ করছেন। আপনারা বহু বছর আগে বাংলাদেশকে ত্যাগ করে চলে গেছেন জীর্ণ বস্ত্রের মতো। আপনারা বিদেশিদের সঙ্গে সন্ধ্যাবেলা ইভনিং স্পেন্ড করতে করতে বাংলাদেশে কোনো মানুষ থাকে কি না এইসব নিয়ে আলাপ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও আপনারা তাই করবেন। কিন্তু বাংলাদেশে আমরাই থাকব। আমাদের মৃত্যুও সম্ভবত বাংলাদেশেই হবে ইনশাআল্লাহ।

অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্বরতদের দিকে প্রশ্ন তুলে রুমিন বলেন, ‘এই মানুষগুলো না পাওয়া ক্ষমতা আসলে পেয়ে গেছে। জীবনে কেউ তাদের চিনতো না। কেউ তাদের নামও জানতো না। কারণ তারা তো দেশ ত্যাগ করা মানুষ। তাদের নাম কেন জানবে বাংলাদেশ? কিন্তু তারা এখন বড় বড় জায়গায় বসছে। বড় বড় কথা বলছে। বড় বড় বুলি দিচ্ছে।’

দেশের অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘দেশের অবস্থা শেষ। আপনি দেখেন ৩৭০টা না, ৩৮০টা মব হইছে গত ৩৬৫ দিনে। ৩৭০টা মব যদি ৩৬৫ দিনে হয়, ওই দেশে তো পাগলও বিনিয়োগ করবে না। ওই দেশে তো পাগলও বাস করতে চাইবে না। গত ৪০ বছরে একটা ভয়াবহ রকম ব্রেইন ড্রেন হয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে। শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশ সন্তান দেশের বাইরে চলে গেছে। সেটল হয়ে গেছে ওখানে। যে কয়জন শিক্ষিত পরিবার আছে তারাও আমি শুনি, আমার কানে তো আসে, কথা হয় না, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে তো কথা হয়, তারা দেশ ছেড়ে দিতে চাইছে।’


প্রিন্ট

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Abeer Uz Zaman

আসসালামু আলাইকুম। আমি আবিরুজ্জামান। ঢাকা গেজেটের সম্পাদক ও প্রকাশক। আপনাদের যেকোনো পরামর্শ ও অভিযোগ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ার শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫;নাসা গ্রুপের ১৬টি ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

দেশে বিনিয়োগ কমছে, মব বাড়ছে: রুমিন ফারহানা

আপডেট সময় ০১:৫৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রুমিন ফারহানা
যত দিন যাচ্ছে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বিনিয়োগ কমছে, মব বাড়ছে। মেধাবীরাও দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে উদগ্রিব। অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্বরতরা দায়িত্ব পালনের বদলে হঠাৎ পাওয়া ক্ষমতা উপভোগ করছে। দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে ততই কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই দেশের পরিস্থিতি সেটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে।

আজকে শুধু বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ সাহেবের কথাই নয়, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও কিন্তু খুব কাছাকাছি একটা কথা বলেছেন। বলেছেন যে দ্রুত আপনারা কাজ করুন। কারণ দর্শক অধৈর্য হয়ে গেলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষ অধৈর্য। অনেকগুলো কারণে অধৈর্য। বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে এবং আশঙ্কাজনক হারে বিনিয়োগ কমছে। কারণ যারা ইনভেস্ট করবে তারা একটা স্টেবল পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখতে চায়। একটা স্টেবল পলিটিকাল গভর্মেন্ট দেখতে চায়।’

নেপালের উদাহরণ দিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নেপালে মাত্র তিনজনের একটা মন্ত্রিসভা হয়েছে এবং শপথ পড়ার সাথে সাথে তারা বলেছে আমার নেক্সট মেইন কাজই হলো ইলেকশন। উনারা কিন্তু ইনডেফিনিট পিরিয়ড। কেন ১২ বছরে ১৪টা সরকার হলো? পিআর পদ্ধতির কি এর জন্য দায়ী? নাকি নেপো চাইল্ডরা দায়ী, নাকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী, কে দায়ী এগুলো খুঁড়ে বের করতে যায়নি তারা। বরং তারা বলেছে আমরা অন্তর্বর্তীকালে জাস্ট এসেছি। জাস্ট একটা ইলেকশন দিয়ে আমরা চলে যাবো। আমরা কিন্তু সেটা বাংলাদেশে দেখছি না। আমরা নানান টালবাহানা লক্ষ্য করছি। টালবাহানাগুলো খুব ভালো না।’

যারা অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তারা বাংলাদেশের প্রতি এতোটা দায়বদ্ধ নন জানিয়ে রুমিন বলেন, ‘আজকে ডক্টর আলী রিয়াজ বলছেন, যিনি আসলে বাংলাদেশি নন, উনি বলছেন যে কেবলমাত্র নির্বাচনই দেশে কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। মানে তাহলে একটা বছর তো আমরা পার করলাম নির্বাচন ছাড়া। দেশে কোনো পরিবর্তনটা এসছে? কেবল তো সংবিধান সংস্কার না, এখানে নারী সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, এখানে চিকিৎসার সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, এখানে পুলিশ সংস্কার কমিশন হয়েছে, প্রশাসন সংস্কারের জন্য কী কী হবে সেটার একটা রেকমেন্ডেশন এসেছে এবং ওগুলোর সংস্কারের ক্ষেত্রে কিন্তু দলগুলো মোটামুটি একমত হয়েছে। সেই সংস্কারে কয়টার বাস্তবায়ন হয়েছে? আপনারা আসলে একটা বাবল তৈরি করতে চাচ্ছেন মানুষের সামনে যে আমি এটা করছি, ওটা করছি। আমি থাকলে আমি এটা করবো ওটা করবো। আপনারা আসলে কিছু করছেন না। আপনারা যেটা করছেন আপনারা না পেয়ে পাওয়া একটা ক্ষমতা, যেটা আপনারা কোনোদিন পাওয়ার কোনো কারণ ছিল না, কথাও ছিল না, আপনারা সেটা উপভোগ করছেন। আপনারা বহু বছর আগে বাংলাদেশকে ত্যাগ করে চলে গেছেন জীর্ণ বস্ত্রের মতো। আপনারা বিদেশিদের সঙ্গে সন্ধ্যাবেলা ইভনিং স্পেন্ড করতে করতে বাংলাদেশে কোনো মানুষ থাকে কি না এইসব নিয়ে আলাপ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও আপনারা তাই করবেন। কিন্তু বাংলাদেশে আমরাই থাকব। আমাদের মৃত্যুও সম্ভবত বাংলাদেশেই হবে ইনশাআল্লাহ।

অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্বরতদের দিকে প্রশ্ন তুলে রুমিন বলেন, ‘এই মানুষগুলো না পাওয়া ক্ষমতা আসলে পেয়ে গেছে। জীবনে কেউ তাদের চিনতো না। কেউ তাদের নামও জানতো না। কারণ তারা তো দেশ ত্যাগ করা মানুষ। তাদের নাম কেন জানবে বাংলাদেশ? কিন্তু তারা এখন বড় বড় জায়গায় বসছে। বড় বড় কথা বলছে। বড় বড় বুলি দিচ্ছে।’

দেশের অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘দেশের অবস্থা শেষ। আপনি দেখেন ৩৭০টা না, ৩৮০টা মব হইছে গত ৩৬৫ দিনে। ৩৭০টা মব যদি ৩৬৫ দিনে হয়, ওই দেশে তো পাগলও বিনিয়োগ করবে না। ওই দেশে তো পাগলও বাস করতে চাইবে না। গত ৪০ বছরে একটা ভয়াবহ রকম ব্রেইন ড্রেন হয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে। শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশ সন্তান দেশের বাইরে চলে গেছে। সেটল হয়ে গেছে ওখানে। যে কয়জন শিক্ষিত পরিবার আছে তারাও আমি শুনি, আমার কানে তো আসে, কথা হয় না, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে তো কথা হয়, তারা দেশ ছেড়ে দিতে চাইছে।’


প্রিন্ট