যে ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির পরিচয় দেওয়া ছিল হত্যাযোগ্য। এই বিজয় মহান রবের একান্ত অনুগ্রহ। আমরা সারাদেশের কোথাও কোনো আনন্দ মিছিল করবো না। শুধু মহান রবের নিকট সিজদার মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করবো।
কারও প্রতি আমাদের কোনো অনুযোগ ও বিদ্বেষ নেই। আমরা নিজেদের ও সকল ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ভুলের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। গর্ব ও অহংকার হোক আমদের পায়ের ধুলো। উদারতা ও বিনয় হবে আমাদের ব্যবহারের অলংকার।
গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক যাত্রা ও নানান ঐতিহ্যের প্রতিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হোক সম্প্রীতির অনন্য উপমা।
প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সবার বাংলাদেশ।
ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস পদে ছাত্রশিবির-নেতৃত্বাধীন প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে এজিএস (ছাত্র) পদে ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (ছাত্রী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দু'জনই ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী।
অন্য পদগুলোতে নির্বাচিতরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল), পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল), সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল), নাট্য সম্পাদক রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (স্বতন্ত্র), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল), তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল), স্বাস্হ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল) এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২৮ পদের ২৩টিতেই জয়লাভ করে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।