জাবি ছাত্রদলের দুপক্ষের হাতাহাতিতে অসহায় কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাসির

বর্ধিত কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এবার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ কয়েকজন নেতার ক্যাম্পাসে আসা উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাসে আসেন। বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহিরউদ্দিন বাবর, সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদসহ সুপার ফাইবের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করছিলেন। বাকি নেতা-কর্মীরা ক্যাফেটেরিয়ায় অবস্থান নেন।

পদবঞ্চিতদের রোষানল থেকে বাচতে জাবি ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতারা। বাইরে চলে স্লোগান।

এর একটুপর শাখা ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীদের আরেকটি দল (বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী) বাইক শোডাউন দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ার নিচে আসেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বহিরাগত কয়েকজনকে ধাওয়া দেন। এরপর তারা ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থানরত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চান। তখন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীরা গেইট দিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের ঢুকতে না দিতে চাইলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিচ্ছিন্নভাবে হাতাহাতি ও গালিগালাজের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলমসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপকে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি ও একইদিনে ১৭টি হলে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছিনতাইকারীসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্তরা পদ পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে গেলো কয়েকদিন শোডাউন দিচ্ছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে কমিটি দেওয়ার পর থেকে শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক, সদস্য সচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে গত নয়দিন যাবত ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আজ রবিবার ক্যাম্পাসে আসেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তাদের সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ পাঁচ নেতাও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহিরউদ্দিন বাবর বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের মধ্যে আমাদের সংগঠনের বহিস্কৃত কিছু নেতা-কর্মী রয়েছে৷ এর পাশাপাশি একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী এটার সঙ্গে জড়িত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *